
বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে শিলিগুঁড়ি করিডরে নতুন তিনটি সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। এই করিডরটি ভারতের মূল ভূখণ্ডকে সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে এবং ‘চিকেন নেক’ করিডর নামেও পরিচিত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জানায়, চিকেন নেক করিডরের নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য বামুনি (ধুবরির কাছে), কৃষাণগঞ্জ এবং চোপড়াতে এই ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে।
দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার একটি উচ্চপদস্থ সূত্র জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ যে গ্যাপগুলো ছিল, সেগুলোতে নজরদারি বাড়ানো এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য এই সেনা ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে।
চিকেন নেককে ভারত তাদের অন্যতম স্পর্শকাতর স্থান হিসেবে বিবেচনা করে। কারণ, যদি কোনোভাবে এই করিডর তাদের হাতছাড়া হয়, সেভেন সিস্টার্স রাজ্যের সঙ্গে স্থল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। ২২ কিলোমিটার বিস্তৃত চিকেন নেক করিডরে নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ এবং চীনের সীমান্ত রয়েছে।
ইন্ডিয়া টুডে জানায়, পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ চেয়ারম্যান জেনারেল শাহির শামসেদ মির্জার ঢাকা সফর এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর ভারত চিকেন নেকের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে। পাকিস্তানের এ শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা বাংলাদেশের সঙ্গে কানেক্টিভিটি ও সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
ভারতের সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, চিকেন নেক করিডর তাদের সবচেয়ে ‘শক্তিশালী সামরিক করিডর’। সেখানে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি দাবি করেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো আছে যে প্রয়োজন হলে চিকেন নেক করিডরে দ্রুত সেনা মোতায়েন করা সম্ভব।
এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধানও বলেন, “চিকেন নেকের বিষয়টি আমি ভিন্ন দিক থেকে দেখি। এটি আমাদের সবচেয়ে শক্তিশালী অঞ্চল। কারণ পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলে মোতায়েন থাকা সব সেনাকে এখানে দ্রুত সময়ে জড়ো করা সম্ভব।”