
জাতীয় বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত কমিটি ১৫০ জনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১৬৮টি তথ্য উদঘাটন করেছে। কমিটিতে বিশেষজ্ঞ ও ভুক্তভোগীরাও ছিলেন। কমিটির মূল লক্ষ্য ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা। এর ভিত্তিতে তারা ৩৩টি সুপারিশ প্রদান করেছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, প্রধান সুপারিশ অনুযায়ী জননিরাপত্তার স্বার্থে বিমানবাহিনীর সব প্রাথমিক প্রশিক্ষণ ঢাকার বাইরে স্থানান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি। ট্রেনিং চলাকালীন তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এটি কমিটির চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ।”
তদন্তে আরও প্রকাশ হয়েছে, বিমান প্রশিক্ষণ স্কুলের বিল্ডিং রাজউকের অনুমোদিত কোড মেনে তৈরি হয়নি। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিল্ডিংয়ে ন্যূনতম তিনটি সিঁড়ি থাকা উচিত ছিল, কিন্তু বিধ্বস্ত মাইলস্টোন ভবনে ছিল কেবল একটি সিঁড়ি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তিনটি সিঁড়ি থাকলে হতাহতের সংখ্যা অনেক কম হতো।
অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে বরিশাল ও বগুড়ায় রানওয়ে সম্প্রসারণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত। প্রধান উপদেষ্টা প্রতিবেদন গ্রহনের সময় সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। নতুন সম্প্রসারিত এলাকায় রাজউকের বিল্ডিং কোড অনুসরণ নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
প্রেস সচিব আরও জানিয়েছেন, প্রতিবেদনে বিমানবাহিনীর বিমানের সংখ্যার স্বল্পতা চিহ্নিত করা হয়েছে। এয়ারপোর্টের আশেপাশে ‘ফোম টেন্ডার’ ব্যবস্থা করা, এবং টেক-অফ ও ল্যান্ডিংয়ের পথে নির্মাণের উচ্চতা সীমাবদ্ধতার দিকে নজরদারি করার সুপারিশ করা হয়েছে। বিদেশে যেমন হাসপাতাল, স্কুল বা ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিধিনিষেধ আছে, সিভিল এভিয়েশনও সেই দিকটি লক্ষ্য রাখবে।
শেষে তিনি বলেন, দেশে বিভিন্ন বিমানবন্দর যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার বিষয়েও কমিটি সুপারিশ করেছে।