
সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান প্রিন্স তুর্কি আল-ফয়সাল বলেছেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান ‘গণহত্যামূলক অভিযান’ বন্ধ করার জন্য একমাত্র শক্তি হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সম্প্রতি আল-আরাবিয়া ইংলিশকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রিন্স তুর্কি উল্লেখ করেন, গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান একটি স্পষ্ট গণহত্যার উদাহরণ। তিনি বলেন, “এই আগ্রাসন ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের হামলার পর শুরু হয়।”
প্রিন্স তুর্কি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এই স্বীকৃতির পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত ফিলিস্তিনের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষা করা।”
তিনি আরও যোগ করেন, ফ্রান্স ও সৌদি আরব যৌথভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও, ইসরায়েলের নীতি পরিবর্তনের জন্য বর্তমানে একমাত্র কার্যকর ব্যক্তি ট্রাম্প।
প্রিন্স তুর্কি বলেন, “হামাসকে সবচেয়ে বড় পুরস্কার দেয় ইসরায়েল নিজেই—ফিলিস্তিনিদের অধিকার কেড়ে নেওয়া ও দমন করা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ায়। রাষ্ট্র স্বীকৃতি নয়, বরং ইসরায়েলের দমননীতি হামাসের জন্য পুরস্কার।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “ইসরায়েল গত ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনের জমি দখল করছে, যা তাদের সরকারিভাবে ঘোষিত নীতি।”
এছাড়া চলতি মাসে কাতারের দোহায় ইসরায়েলের হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি অবাক হইনি। ইসরায়েল নিজেদের বিশ্বাসঘাতক ও অশান্তিপূর্ণ চরিত্র প্রকাশ করেছে। ইতিহাসজুড়ে ইসরায়েল শান্তির নামে প্রতারণা করেছে।”