
ইসলামিক মূল্যবোধ নিয়ে নিয়মিত কথা বলার পরও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করায় অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, “যে আপনি অনেক ইসলামিক মূল্যবোধের বক্তব্য প্রচার করেন, সেই আপনি কেনো আজও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি? এ দেশের মানুষকে সহজে ধর্মের বয়ান শুনিয়ে বিভ্রান্ত করা যায়। আর সেই পথের একজন সফল ব্যক্তি আপনি...”
রাশেদ খানের এই পোস্টে আরও উঠে এসেছে, গণমাধ্যমে বক্তব্য বিকৃত করে প্রচারের অভিযোগ, নুরুল হক নুরকে ঘিরে তৈরি করা বিভ্রান্তিকর শিরোনাম, এবং পিনাকীর সেই খবর প্রচারের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, “পিনাকী ভট্টাচার্য দাদাও দেখলাম নুরুল হক নুরকে নিয়ে কালের কণ্ঠের করা একটি সংবাদ প্রচার করেছেন। কমেন্টে আবার প্রথম আলোর আরেকটা নিউজ যোগ করে দিয়েছেন। অথচ তারা প্রথম আলোর বিপক্ষের মানুষ। কিন্তু নুরুল হক নুরকে ঘায়েল করতে প্রথম আলোর করা নিউজ লিংক শেয়ার করলেন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “পিনাকী ভট্টাচার্য দাদা প্রমাণ করে দিলেন কাটা দিয়ে কাটা তুলতে হয় (শত্রুকে শত্রু দিয়ে ঘায়েল করতে হয়)।”
পোস্টে রাশেদ খান অতীতের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “কিছুদিন আগে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে ৪টি সংগঠনের যৌথ সংবাদ সম্মেলন করার বিষয়ে পোস্টারিং করা হয়েছিল। সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন সেটা শেয়ার করেন। কিন্তু গণঅধিকার পরিষদের নাম থাকায় পিনাকী দাদা সেটা শেয়ার করতে রাজি হননি। পরে আমাদের নাম কেটে প্রচার করেন।”
তিনি বলেন, পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বলার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না, তবে ‘তিনি যখন ঘায়েল করতে আসেন, তখন জবাব দিতে হয়।’
রাশেদ দাবি করেন, পিনাকী ভট্টাচার্য গণঅধিকার পরিষদ ও নুরুল হক নুরকে নিয়ে করা ভিডিওগুলোতে সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। “আমি লাইন ধরে ধরে দেখিয়ে দিয়েছিলাম তিনি কিভাবে সত্যের সঙ্গে মিথ্যা বা মিথ্যার সঙ্গে সত্যের আশ্রয় নিয়েছিলেন,” বলেন রাশেদ।
তবে শেষদিকে রাশেদ খান কিছু ইতিবাচক মন্তব্যও করেন। তিনি বলেন, “আমি ইলিয়াস হোসাইন ভাইয়ের আমন্ত্রণে তার বাংলা এডিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেছিলাম, পিনাকী দাদা, ইলিয়াস হোসাইন ভাই ও কনক সরোয়ার ভাইয়েরা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তারা দেশে আসুক, আমরা তাদের বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত থাকব।”
তবে সেই সঙ্গে তার অনুরোধ, “হেডলাইন বা ফটোকার্ড দেখেই সিদ্ধান্ত নেবেন না। পুরো বক্তব্য পড়ে তবেই মন্তব্য করবেন।”
পোস্টের শেষাংশে তিনি বলেন, “আপনি সারাক্ষণ ভারত বিরোধিতা করেও কিন্তু ঠিকই ভারত হয়ে ফ্রান্সে যেতে পেরেছেন। আমরা কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে কখনো ভারতে ঢুকতে পারব না। ঢোকার মানসিকতাও নাই। যে আপনি ভারত বিরোধিতা করেও ভারতে নিরাপদ আশ্রয় পান, সেই আপনাকে নিয়ে কিন্তু বহু রহস্য থেকে যায়।”
সবশেষে তিনি আবার প্রশ্ন তোলেন, “যে আপনি অনেক ইসলামিক মূল্যবোধের বক্তব্য প্রচার করেন, সেই আপনি কেনো আজও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি?”