
তোশাখানার দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) একে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল বলে দাবি করেছে।
পিটিআইয়ের জ্যেষ্ঠ নেতা আসাদ কায়সার ও দলটির মহাসচিব সালমান আকরাম রাজা এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কারাবন্দি ইমরান খান তার আইনজীবী সালমান সাফদারের মাধ্যমে দলের নেতাদের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন। সেখানে ইমরান খান বলেন, “যা কিছুই হোক, আমি কারও কাছে কোনো কিছুর জন্য ক্ষমা চাইব না। আর এ ব্যাপারে আমি আমার অবস্থানে অঙ্গিকারাবদ্ধ রয়েছি।”
একই সঙ্গে তিনি দলীয় সমর্থকদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন বলে পিটিআই নেতারা জানান।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
শনিবার রাজধানী ইসলামাবাদের অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্টের বিশেষ বিচারক শাহরুখ আরজুমান্দ এই রায় ঘোষণা করেন।
২০২২ সালের এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা হারানোর প্রায় দেড় বছর পর, ২০২৩ সালের আগস্টে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে তাকে পাঞ্জাবের অ্যাটক কারাগারে রাখা হলেও পরবর্তী সময়ে সেপ্টেম্বরে তাকে আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
নিরাপত্তাজনিত কারণে আদিয়ালা কারাগারেই আদালতের কার্যক্রম পরিচালিত হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। তোশাখানা-সংক্রান্ত দুটি মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা করা হয়।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে প্রত্যেককে ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি করে জরিমানা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে তোশাখানা সংক্রান্ত আরেকটি মামলায় নিম্ন আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট সেই সাজা বাতিল করেন।
সূত্র: দ্য ন্যাশন