
ঢাকার পল্টনে লিমা (১৬) নামে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, পল্টন এলাকা থেকে এক যুবক, ডাক্তার অনন্যা নামে এক নারী এবং গৃহকর্তা লিমাকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে, তারা মৃত্যুর বিষয়ে কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, লিমা ভবন থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিল। তবে কীভাবে বা কেন তিনি নিচে পড়ে যান, সে বিষয়ে তারা কোন তথ্য দিতে চাননি। লিমার দুই পা ভেঙে গিয়েছিল। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পল্টন থানা তদন্ত শুরু করেছে।
হাসপাতালে গৃহকর্তা খাইরুল কবির জানান, তাদের বাসা পুরানা পল্টন কালভাট রোডের ইস্টার্ন রেইনবো টাওয়ারে। তিনি স্ত্রী ও ছেলে খারজিন কবিরকে নিয়ে ভবনের নয় তলায় বসবাস করেন। একই ভবনের ১৪ তলায় তাদের মেয়ে ডাক্ত অনন্যা থাকেন। লিমা দেড় বছর ধরে তাদের বাসায় কাজ করছিল এবং নয় তলা ও ১৪তলা দুই জায়গাতেই থাকত।
খাইরুল কবির বলেন, ‘রোববার সকালে লিমা নয় তলায় নাস্তা পরিবেশন করে। এর কিছুক্ষণ পরে আরেক গৃহকর্মী জানায়, লিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিচ থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা চিৎকার করে জানান, কেউ ওপর থেকে পড়ে গেছে। পরে তারা ভবনের নিচে লিমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
তবে, লিমা কীভাবে নিচে পড়ে যায়, তা তিনি জানাতে পারেননি।
পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান জানান, পুরানা পল্টনে একটি বাসায় গৃহকর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেলে যান। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, লিমা ভবনের ১৪তলা থেকে নিচে পড়ে যান। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। লিমার বাড়ি ময়মনসিংহে। তার বাবার নাম মো. নয়ন। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে।