
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, দুর্গাপূজা শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি আমাদের ঐক্য ও সম্প্রীতির প্রতীক।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সনাতনী ধর্ম অনুযায়ী দশম পূজার কাঠামোর মধ্যে দেশ ও জাতির সব ধরনের ঐক্য ও সংগতির প্রতীক রয়েছে। লক্ষ্মীর ধনসম্পদ, সরস্বতীর জ্ঞান, কার্তিকের বিরক্তি এবং গণেশের সাফল্য সহ দশভূজা দুর্গার অসীম শক্তি একত্রিত হয়ে সমস্ত অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে। এর মধ্যেই জাতির ঐক্যবদ্ধ চিত্র নিহিত।
তিনি আরও বলেন, জ্ঞান, সম্পদ এবং শক্তি নিয়ে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, তাহলে কোন শক্তি আমাদের দমাতে পারবে না। কিন্তু যদি আমরা বিভক্ত থাকি, জাতি হিসেবে আমরা উন্নতি করতে পারব না। এমন একটি রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হবে না, যার জন্য আমরা গর্বিত হতে পারি।
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারি ছুটি দুইদিন এবং সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব পালন করতে পারবেন। দুর্গাপূজাকে ঘিরে কোনো দুর্ঘটনা বা নাশকতা যাতে না ঘটে, সেজন্য সরকার, রাজনৈতিক দল ও সমাজের সব স্তরের মানুষ বিশেষভাবে সতর্ক এবং তৎপর। আমরা চাই নিখুঁতভাবে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হোক।
তিনি প্রশাসনের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন, এই কঠিন কাজে যারা দিন-রাত এক করে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে ধন্যবাদ।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কারণে সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারিনি, তবে আমার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সবসময় আপনাদের সঙ্গে রয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের অগ্রযাত্রা শুরু করেছি। এর সফল বাস্তবায়নের জন্য ধর্ম, বর্ণ ও ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সব অশুভ, অন্যায় ও অন্ধকারকে পরাজিত করে উগ্র সম্প্রীতির জয় নিশ্চিত হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির পথে।