
২০১৯ সালের ৩০ শে জুন দক্ষিণ কোরিয়ার পানমুনজমে অবস্থিত ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড) এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একসঙ্গে ছবি তোলেন। ছবিটি তখন থেকেই বৈশ্বিক রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে।
তৎকালীন সময়ের ঘটনা ঘিরে এখন অনেকেই মনে করছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন হয়তো এখন নিজের কৌশলের সফলতা নিয়ে সন্তুষ্ট।
কারণ, উত্তর কোরিয়া যখন মহাদেশীয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়, তখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সামরিক হামলার কথা বিবেচনা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি কূটনীতির পথ বেছে নেন।
এই ঘটনার পর থেকে অনেকেই মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন কোনো দেশকে আক্রমণ করতে চায় না যার পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এবং যে দেশগুলো তার কার্যকারিতাও প্রমাণ করেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০১৫ সালে ইরান পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম ত্যাগ করে।
এ বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড চলতি বছরের মার্চে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ইরান বর্তমানে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না।
তবে,সাম্প্রতিক বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্নটি সামনে এসেছে—পারমাণবিক অস্ত্রই কি একমাত্র উপায় যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টিকে থাকার।
সূত্র বিবিসি
এএস/ এমআর