
ডেসটিনি গ্রুপের রফিকুল আমীনের প্রতিষ্ঠিত আমজনগণ পার্টি দুই কোটি টাকার বিনিময়ে নির্বাচনী নিবন্ধন পেয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান। তিনি একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বানও জানিয়েছেন।
শনিবার (৮ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে নিজের দলের নিবন্ধন না মেলার প্রতিবাদে তারেক রহমান অনশনরত অবস্থায় ছিলেন। ইতিমধ্যে তাঁর অনশন ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে এখনো চলমান।
তারেক বলেন, “ডেসটিনির দলকে (আমজনগণ পার্টি) দুই কোটি টাকার বিনিময়ে নিবন্ধন পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বৈঠক করে টাকার বিনিময়ে নিবন্ধন নিশ্চিত করেছেন। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে বলব, এখনই ওই দলের নিবন্ধন বাতিল করুন।”
নিবন্ধন পায়নি বলে ব্যক্তিগত ক্ষোভের ভিত্তিতে অভিযোগ তুলেছেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে তারেক জানান, “নিবন্ধন নিয়ে ইসির তদন্ত কর্মকর্তারা মাঠে পর্যবেক্ষণ করবেন। কিন্তু হোটেলে কিসের আলোচনা হলো? ডেসটিনির রফিকুল আমীনের দল নিয়ে যে কর্মকর্তারা হোটেলে বৈঠক করেছিলেন, সেখানে একজন কর্মকর্তা কম ভাগ পেয়েছেন। সে কারণেই তিনি আমাদের সব তথ্য জানিয়েছেন। তাই আমি অভিযোগ তুলেছি। ইসির উচিত হবে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখা।”
তিনি আরও বলেন, “আমার দল নিবন্ধন না পেয়েছে বলে আমি অভিযোগ করছি না। রাস্তায় দশটিতে একটি যদি দুষ্টু চালক থাকে, আপনি ভালো গাড়ি চালাতে পারবেন না। রফিকুল আমীন রাজনীতিতে সেই দুষ্টু চালকের মতো। তাই তার দলের নিবন্ধন বাতিল হওয়া উচিত।”
ডেসটিনি গ্রুপের রফিকুল আমীনের বিষয়ে উল্লেখ করে তারেক রহমান আরও বলেন, “তিনি কি জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন? ছিলেন তো জেলে। ৪৩ লাখ গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ করে জেলভূক্ত হয়েছেন। আমাদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। মুক্তি পাওয়ার পর দল গঠন করেছেন সম্পদ রক্ষার জন্য।”
তারেক রহমান ৪ নভেম্বর থেকে ইসির মূল ফটকের সামনে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। ইসির একজন যুগ্ম সচিব গত বৃহস্পতিবার এসে আমার বক্তব্য শুনেছেন। এখনো কোনো জবাব দেননি।”