
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানে তাকাইচিকে তাইওয়ান সম্পর্কিত সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপে আলোচনার পর ট্রাম্প আরও এক ফোনকলে তাকাইচির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
তাকাইচির সাম্প্রতিক মন্তব্যে বলা হয়েছিল, চীন যদি তাইওয়ান আক্রমণ করে, জাপান সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে বেইজিং, কারণ তারা তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে।
ফোনালাপের সময় ট্রাম্প তাকাইচিকে সরাসরি মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বলেননি, তবে ‘ভলিউম কমানোর’ পরামর্শ দিয়ে মূলত এই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, কূটনৈতিক উত্তেজনা কমানো জরুরি। প্রধান মিত্রের এমন অনুরোধ জাপানি কর্মকর্তাদের কিছুটা বিরক্ত করেছে, তবে তারা এটিকে সংকেত হিসেবে দেখছেন যে, তাইওয়ান-সম্পর্কিত উত্তেজনা মার্কিন-চীন বাণিজ্য ও সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে ট্রাম্প বলেন, “চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। এটি আমাদের প্রিয় এবং ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপানের জন্যও খুবই ভালো।”
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) টোকিওতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মিনোরু কিহারা এই প্রতিবেদনকে ‘সত্য নয়’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।