তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়ে করা রিভিউ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়ে দেশের সব প্রধান রাজনৈতিক দল আপিল বিভাগে আবেদন জানিয়েছে। এই বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ২৬ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত।
২০০৮ সালে বাংলাদেশে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে। তবে ২০১১ সালে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু প্রতিটি নির্বাচনই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এবং একতরফা নির্বাচনের অভিযোগ ওঠে। কোনোটি পরিচিত হয় ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন’ হিসেবে, কোনোটি ‘রাতের ভোটের নির্বাচন’, আবার কোনোটি ‘ডামি নির্বাচন’ নামে।
গত বছর গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর, ভবিষ্যতে সত্যিকারের জনরায়ের ভিত্তিতে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। এই প্রেক্ষাপটে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে এক অভূতপূর্ব ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে।











