ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওই ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাস্তায় নামলেন—রাতের শান্ত পরিবেশে মিছিল বের করে তারা ক্ষমতার লম্পটমোচন ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রতিবাদ জানালেন।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল কলা ভবন, মলচত্বর ও ভিসি চত্বর প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় নানান স্লোগান উৎসারিত করেন। তারা among others প্রতিবাদে বলেন: “আবু সাইদের বাংলায় চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই”, “মুগ্ধের বাংলায় চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই”, “ওয়াসিমের বাংলায় চাঁদাবাজের ঠাঁই নাই”, “দিল্লিবাসীর পায়তারা করতে হবে দেশছাড়া”, “পুনর্বাসন করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না”, “একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর”।
সমাবেশে সূর্যসেন হলের ভিপি আজিজুল হক বক্তব্যে বলেন, “জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে আওয়ামী লীগ লকডাউনের নামে দেশে বিশৃঙ্খলা ও ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করছে। ঠিক সেই সময় বিএনপির মহাসচিব ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আওয়ামী লীগের সব মামলা তুলে নেবেন।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্রজনতার পক্ষ থেকে জানতে চাই— এটা কি আপনার ব্যক্তিগত মত, নাকি দলীয় অবস্থান? নাকি বক্তব্যের ভুল স্বীকার করবেন? আমরা আশা করি, আপনি দ্রুত এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইবেন।”
আজিজুল হক সমাবেশে দাবি করেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে এবং তার সহযোগীরা বিদেশী ক্ষমতাসমর্থিত শক্তির বেশ ধারণ করে আচরণ করছে। তিনি বলেন, “একটি পক্ষ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাদের দোসররা আবার দিল্লির পতিত ফ্যাসিস্টদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় লিপ্ত। জুলাই জনতা থাকতে খুনি আওয়ামী লীগ, যাদের হাতে দুই হাজার শহীদের রক্ত, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসতে পারবে না।”
আরেক বক্তা রিয়াজুল ইসলাম জুবা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকেই কিছু বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা জুলাই আন্দোলনকে বিকৃত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকে তথাকথিত বৃহৎ রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা পরিকল্পিতভাবে জুলাই আন্দোলনকে বিকৃত করার চেষ্টা করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শবিরোধী বক্তব্য ও গণহত্যাকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন জাতির জন্য লজ্জাজনক। তারা যেন জুলাইয়ের পক্ষে থেকে নতুন বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসে।”