জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি নিয়ে ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। শাখা ছাত্রদলের ৩৭০ সদস্য বিশিষ্ট বর্ধিত কমিটি ও ১৭টি হলে ৮৮ সদস্যের কমিটিতে হত্যাকাণ্ডের মামলার আসামি, ছাত্রলীগের সদস্য এবং ছিনতাইকারী থাকার অভিযোগ তুলে কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর ও সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিকের সঙ্গে নতুন করে হাতাহাতি হয়েছে।
ঘটনা ঘটেছে সোমবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল ইসলাম ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
শাখা ছাত্রদলের সূত্র জানায়, হল কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জহির উদ্দিন বাবর ও ওয়াসিম আহমেদ অনিককে অর্ধ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন এবং সেই সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নিলে ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও হাতাহাতি ঘটে। প্রক্টরের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং দু’পক্ষকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা বলেন, আমাদের দাবি, কমিটি বাতিল করতে হবে। হল কমিটি বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিলে আমরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখব এবং ছাত্রদলের প্যানেলের জন্য কাজ করব। অন্যথায় আলোচনায় বসতে রাজি নই।
অন্যদিকে আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, জাকসুর আগে একটি পক্ষ ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। এত বড় কমিটিতে ভুলত্রুটি থাকতেই পারে, যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের কয়েকজন শিক্ষকের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের আলোচনার আয়োজন করা হবে।
এর আগে রোববার দুপুরে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান ইয়াহিয়ার উপস্থিতিতে ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় অবস্থান করছিলেন শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তখন হল কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মী সেখানে জড়ো হলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি এবং উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ঘটেছিল।