
৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে টানা প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে তারা পিএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম এবং উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের ছবিতে আগুন ধরিয়ে তাদের কর্মসূচি জোরদার করেন। দফায় দফায় অবরোধের কারণে মহাসড়কে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মহাসড়কের দুই লেন বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ২টা ৫ মিনিটে অবরোধ তুলে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই, ২টা ২৫ মিনিটে তারা আবার সড়ক অবরোধে নামেন। বিকেল ৪টা ২০ মিনিটেও ১০ মিনিটের বিরতি দিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিষেবার যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শ্লোগান দেন- “আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম”, “দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ”, “আমার ভাইকে মারলো কেনো, প্রশাসন জবাব চাই।”
অবরোধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান পথচারীরা। নবীনগর এলাকার বাসিন্দা আলহাজ্ব সাবেরুল আলম বলেন, “প্রায়ই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ব্লক করে রাখে। সাধারণ নাগরিকের জীবনের কোনো মূল্য নেই। মন চাইলেই রাস্তা আটকে দেয়। এভাবে দেশ চলতে পারে না।”
আরেক পথচারী খুরশিদা জাহান বলেন, “বাচ্চা নিয়ে এভাবে জ্যামে বসে আছি। হাঁটতেও পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি জনদুর্ভোগ না বোঝে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?”
জার্নালিজম বিভাগের ৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী হারুন উর রশিদ অভিযোগ করেন, “আসিফ-মাহফুজরা আমাদের সঙ্গে বেঈমানি করেছে। ২৪ জুলাইয়ের আন্দোলনে আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা আজ ক্ষমতায়। সেই জায়গা থেকে তারা কীভাবে সাহস পায় আজ আমাদের সঙ্গে না থেকে বিরোধিতা করতে? তাই আমরা তাদের ছবি পুড়িয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বয়কট করলাম। আমাদের ভাইরা আজ আহত। আমরা এর বিচার চাই। আমাদের দাবি মানা না পর্যন্ত আমরা রাস্তায় অবস্থান করবো।”