
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর হোয়াইট হাউসে নিউইয়র্কের নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাক্ষাতের প্রশংসা করেছেন। তিনি মনে করেন, নির্বাচনকালীন তীব্র আক্রমণাত্মক মন্তব্যের পরও বৈঠকটি গণতান্ত্রিক চেতনাকে সম্মান দেখিয়েছে। “নির্বাচন শেষ হলে সহযোগিতা করতে শিখুন”—এটাই শুক্রবারের বৈঠক থেকে প্রধান শিক্ষা, বলেছেন তিনি।
শনিবার (২২ নভেম্বর) এনডিটিভি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থারুর হোয়াইট হাউসের এই সাক্ষাতের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন, “গণতন্ত্র এভাবেই কাজ করা উচিত। নির্বাচনের সময় আপনার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আবেগের সঙ্গে লড়াই করুন, কিন্তু ভোট শেষে এবং জনগণ সিদ্ধান্ত নিলে জাতির স্বার্থে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করতে শিখুন। আমি ভারতে একই স্তরের সহযোগিতা দেখতে চাই।”
ভিডিওতে দেখা যায়, একজন সাংবাদিক মামদানিকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি এখনো ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ মনে করেন? মামদানি উত্তর দেওয়ার আগে ট্রাম্প নিজেই ঢুকে বলেন, “যদি আমাকে ফ্যাসিস্ট বলা হয়, কোনো আপত্তি নেই।”
এদিকে, থারুরের মন্তব্যকে বিজেপি ‘রহস্যময়’ বলে উল্লেখ করেছে এবং এটিকে কংগ্রেস নেতৃত্বের সমালোচনা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে। বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, “ড. থারুর কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, পারিবারিক স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরাজিত দলের মতো আচরণ না করে গণতান্ত্রিকভাবে দেশের সেবা করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সম্ভবত এটি কংগ্রেসের কাছে একটি রহস্যময় বার্তা যে তারা জরুরি মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে পরিণত বিরোধী দলের মতো আচরণ শিখুক। তবে রাহুল গান্ধী কি এই বার্তাটি বুঝতে পারবেন? নাকি তিনি ড. থারুর বিরুদ্ধে আরেকটি ফতোয়া জারি করবেন।”