
কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগের নাশকতা ও নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভোর থেকেই অবস্থান নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের সমাবেশ শুরু হয়। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিবিরের বড় ধরনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
মিরপুর মাজার রোড, ১০ নম্বর গোলচত্তর ও আশপাশের এলাকায় জামায়াত ও শিবিরের মিছিলের খবর পাওয়া গেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরা বিএনএস, খিলখেত, বসুন্ধরা গেট, শাহবাগ, রামপুরা, মহাখালী, গাবতলী, মিরপুর-১০, ধানমণ্ডি-৩২, সায়েন্সল্যাব, গুলিস্তান, বাহাদুর শাহ পার্ক, যাত্রাবাড়ী ও চিটাগাং রোডসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি চলছে। ইসলামী ছাত্রশিবির ছাত্রসমাজ ও দেশপ্রেমিক জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, তারা আওয়ামী লীগের নাশকতা ও আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিক।
এদিকে রামপুরা ও উত্তরার চারটি পয়েন্টে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছে। ঢাকা–১১ আসনে জামায়াতের মনোনীত সংসদ প্রার্থী অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে রামপুরা বাজার এলাকায় দলটির কর্মীদের সমাবেশও দেখা গেছে। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের নাশকতা প্রতিরোধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের নাশকতা ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানায়। বনানী সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে থেকে গুলশান পশ্চিম থানার উদ্যোগে মিছিল শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ঢাকা–১৭ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ প্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামান।
উল্লেখ্য, একই দিনে আট দলীয় জোটও দেশের বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার ঘোষণা দেয়। এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী শক্তির নাশকতা ও অপতৎপরতা মোকাবিলায় দেশের সর্বস্তরের জনশক্তি রাজপথে অবস্থান করবে। একই সঙ্গে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব দেশপ্রেমিক শক্তিকে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।