
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতে এর প্রতিচ্ছবি ও নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হত্যার চেষ্টা চলছে। তিনি উল্লেখ করেন, এর অংশ হিসেবে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ ইসলাম আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, এপর্যন্ত ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, "বাংলাদেশের প্রতিটি লড়াইয়ে বুদ্ধিজীবীদের একটি শ্রেণি নিজে যেমন পক্ষে ছিল আবার অপর শ্রেণি বিপক্ষে ছিল। এই আওয়ামী লীগের সময়েও আওয়ামীপন্থি কিছু বুদ্ধিজীবী, তারা বিভিন্ন নামে আওয়ামী লীগের মতাদর্শ উৎপাদন করে গিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদের পক্ষে সম্মতি তৈরি করেছে। আমরা ৫ আগস্টের পরেও এই সময়েও সেটি দেখতে পাচ্ছি। বুদ্ধিজীবীর নাম করে ৫ আগস্টের বিরুদ্ধে জুলাইয়ের বিপক্ষে এবং গণহত্যার পক্ষে সম্মতি তৈরি করে যাচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি চলছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।"
তিনি অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, "কিন্তু আমরা মনে করি জনগণের পক্ষের বুদ্ধিজীবীরা সবসময় ছিলেন, তারা আছেন, তারা কথা বলবেন এবং দেশের যে চিন্তার স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা সেই স্বাধীনতার লড়াই ছাড়া আমাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অপূর্ণ। আমরা বুদ্ধিজীবী দিবসে সেই সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমরা ধারণ করতে চাই তাদের আকাঙ্ক্ষা, আমরা চাই এই সময়ের রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবীরা সেই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে ৭১, ২৪ এবং ৪৭ এর আমাদের যে ঐতিহাসিক লড়াই ছিল সেই লড়াইকে ধারণ করে বাংলাদেশকে একটা আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারবো।"
এনসিপি আহ্বায়ক আরও অভিযোগ করেন, সরকার জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলার প্রতি জনগণের আস্থা এখনও তৈরি হয়নি। "ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে, না হলে গণহত্যাকারীরা আবার ফিরে আসার সুযোগ পাবে।"