
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যে কোনো মূল্যে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলেও তা সফল হবে না।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলিয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ দেশে জ্বালাও-পোড়াও চালিয়ে প্রমাণ করছে, তাদের নেশাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তবে যতই বানচালের চেষ্টা করা হোক না কেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো শক্তিই এই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু মতবিরোধ থাকলেও সবাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, জামায়াতে ইসলামীও প্রার্থী দিচ্ছে। বড় বড় দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। আমরা একটি উৎসবমুখর ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে পাব। ইতিমধ্যে নির্বাচনী জোয়ার বইছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশে বিশৃঙ্খলা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এ পর্যন্ত সাতটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা, এসব কাজ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজনই করেছে। ডেমরায় একজনকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে, যার বাড়ি গোপালগঞ্জে। ময়মনসিংহে একজন বাসচালককে ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
তিনি আরও যোগ করেন, “এসব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগেরই কাজ। তারা নিজেরাই প্রমাণ করছে কেন তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।”
আসন্ন নির্বাচনকে বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন হিসেবে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আমরা আশাবাদী, এটি হবে সম্পূর্ণ অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুলিয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলী রাজীব মাহমুদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম শাহিনুর ইসলাম, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন এবং চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ।