জুলাই যোদ্ধাদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
- ফেনী প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ০৪:২৫ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে মানিক মিয়া এভিনিউতে জুলাই যোদ্ধাদের লাঠিচার্জের প্রতিবাদ ও অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রামমুখী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
১৭ অক্টোবর, শুক্রবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে। আন্দোলনকারীরা মহিপাল ফ্লাইওভারের দক্ষিণ পাশে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। তারা দাবি তোলেন, ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে যে লাঠিচার্জ চালানো হয়েছে, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচারের। একই সঙ্গে তারা ২০০৭ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার জন্য রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, “ঢাকায় হামলা কেন, ইন্টিরিম জবাব চাই”, “জুলাই যোদ্ধারা আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই”, “জুলাই যোদ্ধাদের স্বীকৃতি, দিতে হবে দিতে হবে”, “আওয়ামী লীগের আস্তানা, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও”, “ইন্টিরিম সরকার, ব্যর্থ ব্যর্থ”।
আন্দোলনকারী নাজিম উদ্দীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জুলাই যোদ্ধাদের রক্তের ওপর দিয়ে এ সরকার চেয়ারে বসেও আমাদের স্বীকৃতি মেলেনি। আইনি স্বীকৃতি ছাড়া পরবর্তী কোনো সরকার আসলে আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকে যাবে। বাধ্য হয়ে আজ আবারও আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি।”
অন্যদিকে, ওমর ফারুক বলেন, “আমাদের হাজারো ভাইয়ের আত্মত্যাগে এ সরকার। আজ এ সরকারের পালিত পুলিশ বাহিনী আমাদের ভাইদের ওপর আবারও হামলা করেছে। এত রক্ত জড়ানোর পরেও এমন দিন দেখতে হবে ভাবিনি।”
এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ জানান, “অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যায়। এখন আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”