নির্বাচন কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহারের চেষ্টা করছে: সারজিস
- পঞ্চগড় প্রতিনিধি
- প্রকাশঃ ১১:৫৯ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টি (উত্তরাঞ্চল) এর মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশন ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এবং স্বৈরাচারী আচরণ প্রদর্শন করছে। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারিতা করছে। তারা কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এমন আচরণ করছে। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ জন্য যদি আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হয়, আমরা তা করব। আগামীর নির্বাচনে শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।”
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে পঞ্চগড়ের শের-ই-বাংলা পার্কে বিভিন্ন এলাকার মসজিদ কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।
তিনি আরও বলেন, “যে ধরনের মার্কা মানুষের হাসির খোরাক জোগায়, সেগুলো নির্বাচন কমিশনের মার্কার তালিকায় কিভাবে থাকে? এটা তো তাদেরও রুচিবোধের প্রকাশ। এই জায়গাটা তাদের ঠিক করা উচিত। আমাদের কেন বলে দিতে হবে। একটা নির্বাচন কমিশনের মার্কায় মুলা, বেগুন, খাট, থালাবাটি থাকতে পারে না। দেশে কি মার্কার অভাব পড়েছে? আমরা আশা করছি, এটা তারা সংশোধন করবে।”
আইনগত কোনো বাধা না থাকার কারণে শাপলার বিকল্প তারা ভাবছেন না বলেও জানানো হয়। তিনি বলেন, “আমরা সব শেষ তাদের সাদা শাপলা, লাল শাপলার অপশন দিয়েছিলাম। যদি একান্তই শাপলার সঙ্গে কিছু অ্যাড করতে হয়, তাহলেও আমাদের দ্বিমত থাকবে না।”
ভারত এবং মহানন্দা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একাধিক ক্ষোভও প্রকাশ করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, “ভারত মহানন্দা নদীর উজানে তাদের স্লুইস গেটের ৯টি ভোরবেলায় হঠাৎ করে খুলে দেওয়ায় বাংলাবান্ধায় একটি গ্রাম ঝুঁকিতে পড়েছে। নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। আমরা ভারতকে বলতে চাই, তারা যদি আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হতে চায়, তাহলে তাদের আচরণ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো হতে হবে। তারা মন চাইলে নদীতে স্লুইস গেট দিল, মন চাইলে আটকে রাখল আর মন চাইলে ছেড়ে দিল। এমন কাজ করলে বাংলাদেশে অ্যান্টি ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট দিন দিন আরো প্রকট হবে। এটি দুই রাষ্ট্রের সম্পর্কের জন্য পজিটিভ কোনো বার্তা দেবে না।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এমন অনেক নদী আছে তাদের উৎপত্তি স্থল ভারতে নয়, নেপালে বা চায়নায়। তারা যদি এমনটি করে তাহলে ভারতকেও সমস্যায় পড়তে হবে। সব দিন কিন্তু ভারতের দিন নয়। দিন বাংলাদেশেরও আসবে এবং অন্য দেশগুলোরও আসবে। আমরা তাদের কাছে সমতার বা ভ্রাতৃত্বের আচরণ প্রত্যাশা করি। এর পাশাপাশি বলতে চাই, যত দিন তারা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে না দিচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের কাছে যে সেন্টিমেন্ট তারা প্রত্যাশা করে; তা কখনোই পাবে না।”
সারজিস আলম জানান, জেলার পাঁচ উপজেলার ১২০টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এনসিপির মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার বরাদ্দ অর্জন করা হয়েছে। এ সময় দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে এনসিপির পঞ্চগড় সদর উপজেলার প্রধান সমন্বয়ক নয়ন তানবীরুল বারী এবং জাতীয় যুব শক্তির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।