খাগড়াছড়িতে ৩য় দিনের মতো ১৪৪ ধারা অব্যাহত


খাগড়াছড়িতে ৩য় দিনের মতো ১৪৪ ধারা অব্যাহত

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে সহিংসতার জেরে জারি করা ১৪৪ ধারা সোমবারও বহাল রয়েছে। তবে দুপুর থেকে আংশিক অবরোধ শিথিল হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

রোববারের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারানো তিন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতরা হলেন: খাগড়াছড়ির সিন্দুকছড়ি ইউনিয়নের দেবলছড়ি চেয়ারম্যানপাড়ার আথুই মারমা (২১), হাফছড়ি ইউনিয়নের সাং চেং গুলি পাড়ার আথ্রাউ মারমা (২২) এবং রামেসু বাজার বটতলা এলাকার তৈইচিং মারমা (২০)।

এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর একজন মেজরসহ মোট ১৬ সেনা সদস্য এবং গুইমারা থানার ওসি-সহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর গুইমারা উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এখনো পুরো এলাকা থমথমে।

জুম্ম ছাত্র-জনতা সংগঠনের ডাকা অবরোধে রাঙামাটিসহ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙাসহ ৯ উপজেলার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অবরোধের তৃতীয় দিনে এসে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

খাগড়াছড়ি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কড়া নজরদারিতে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। চেঙ্গী স্কয়ার, শাপলা চত্বর, কলেজ গেট, স্বনির্ভর ও জিরো মাইল এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে চলাচলকারীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।

এদিকে সাজেকে অবরোধে আটকে পড়া ৫১৮ পর্যটককে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তায় সোমবার দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরে ফিরিয়ে আনা হয়। অবরোধের কারণে তিনদিন ধরে তারা সেখানে অবরুদ্ধ ছিলেন।

রোববারের প্রাণহানির ঘটনার পর সোমবার খাগড়াছড়িতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোথাও পিকেটিং বা সহিংসতার খবরও পাওয়া যায়নি।

গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, "সোমবার সকাল থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলায় অবরোধের সমর্থনকারীদের অবস্থান নেওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।"

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ছাবের আহম্মেদ জানিয়েছেন, "রোববার থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ১৪ জন আহত রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ১ জনকে রোববার রাতে চট্টগ্রামে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে ১৩ জন চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া ৩ জনের মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে।"

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×