গাইবান্ধায় রাতের আঁধারে প্রতিমায় দুর্বৃত্তের আগুন


গাইবান্ধায় রাতের আঁধারে প্রতিমায় দুর্বৃত্তের আগুন

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে তৈরি করা প্রতিমায় দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। এতে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গণেশসহ সব প্রতিমা ও সাজসজ্জার সরঞ্জাম ভস্মীভূত হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার হামিন্দপুর সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এরই মধ্যে প্রতিমাগুলো সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, মন্দিরের ক্যাশিয়ার কার্তিক চন্দ্রের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে গত শনিবার দুপুরে তিনি মন্দিরের প্রধান দরজায় তালা দেন। পরে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বাঁশ ও খড় দিয়ে প্রতিমা তৈরি শুরু করেন কারিগররা। কিন্তু কয়েকদিনের শ্রম এক রাতেই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

মন্দির কমিটির সাবেক সভাপতি অনুকূল চন্দ্র রনু বলেন, মন্দির নিয়ে সামাজিক বিরোধের কারণে আমরা কয়েকটি পরিবার আলাদাভাবে পূজার আয়োজন শুরু করি। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে প্রতিমায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কার্তিক চন্দ্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

পাশের বাসিন্দা টুলু জানান, এর আগেও বিরোধ মীমাংসা হলেও কার্তিক চন্দ্র তালা ঝুলিয়ে মন্দিরে প্রবেশে বাধা দিতেন। তিনি বলেন, প্রতিমা পুড়ে যাওয়ায় পূজা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।

ঘটনার খবর পেয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দীন খন্দকার এবং উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র অধিকারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি তাজউদ্দীন খন্দকার বলেন, রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা প্রতিমায় আগুন দিয়েছে। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

প্রভাত চন্দ্র অধিকারী জানান, কার্তিক চন্দ্রের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে আমরা আগেও বসেছিলাম। আবারও সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই প্রতিমায় আগুন দেওয়া হলো।

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে কার্তিক চন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাতেও তার বাড়িতে খোঁজ করলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×