সাভার আমিনবাজারে বারবার গ্যাস সংকট, ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের মানববন্ধন


সাভার আমিনবাজারে বারবার গ্যাস সংকট, ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের মানববন্ধন

সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলমান গ্যাস সংকটের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) জুমার নামাজের পর ‘আমিনবাজার ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় সাধারণ মানুষ ছাড়াও সাভারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব কফিল উদ্দিনসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কফিল উদ্দিন বলেন, সাভারে বারবার গ্যাস বিচ্ছিন্ন হওয়া বন্ধে তিতাস গ্যাসকে অবশ্যই সমাধান খুঁজতে হবে। প্রয়োজনে তাদেরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানাতে হবে। সাভারের মানুষের এই দুর্দশা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাভারকে কেরানীগঞ্জের সাথে যুক্ত করায় এখানকার বাসিন্দারা অবহেলিত হচ্ছেন। সাভারকে আলাদাভাবে বিবেচনা করা হলে জনগণ এভাবে কষ্ট পেত না। আমাদের এ বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। আমরা সাভারে ছিলাম, সাভারেই থাকতে চাই, যোগ করেন তিনি।

বক্তারা অভিযোগ করেন, আমিনবাজারের গ্যাস পাইপলাইনে ঘন ঘন লিকেজ হচ্ছে, অথচ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কার্যকর সমাধান দিচ্ছে না। একটি লাইনে বারবার সমস্যা কেন হবে? এটি তিতাসের গাফিলতিরই প্রমাণ। এই পরিস্থিতি আর মেনে নেওয়া হবে না, তারা হুঁশিয়ারি দেন। একইসঙ্গে দ্রুত সমস্যা সমাধান না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।

তিতাস গ্যাসের উপমহাব্যবস্থাপক (প্রকৌশলী) মুহাম্মদ আরিফুল ইসলাম জানান, গ্যাসের চাপ কম থাকায় এবং পুরনো পাইপলাইনে লিকেজের কারণে সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। তবে পর্যাপ্ত সরবরাহ পেলে সমস্যা দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি এবং দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।

প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসেও বড়দেশী এলাকায় প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে তীব্র গ্যাস সংকট চলেছিল, যা এলাকার লক্ষাধিক মানুষের জীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনে। কেউ কেউ বিকল্প উপায়ে রান্না করলেও অনেকে হোটেল-রেস্তোরাঁর ওপর নির্ভর করেন। গ্যাস না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় সিএনজি স্টেশনগুলো, যার প্রভাব পড়ে অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যেও। কিছুদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও সম্প্রতি আবারও একই সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা, যা তাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে।

ঢাকাওয়াচ২৪ডটকমে লিখতে পারেন আপনিও ফিচার, তথ্যপ্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, ভ্রমণ ও কৃষি বিষয়ে। আপনার তোলা ছবিও পাঠাতে পারেন [email protected] ঠিকানায়।
×