ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে ঝড়, নদীতে জোয়ারের তীব্র চাপ
- নিউজ ডেস্ক
- প্রকাশঃ ০৫:২৭ পিএম, ২৬ মে ২০২৪

ঘুর্ণিঝড় রিমাল-এর প্রভাবে উপকূলবর্তী শ্যামনগরসহ আশপাশের এলাকায় বাতাসের গতিবেগ বেড়েছে। থেমে থেমে বৃষ্টির পাশাপাশি দমকা বাতাস বইতে থাকায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হচ্ছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত স্থানীয়রা সাইক্লোন শেল্টারে আশ্রয় না নিলেও মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে দুপুরের আগে থেকে সুন্দরবন উপকূলবর্তী নদীসমূহে জোয়ারের চাপ তীব্রতর হয়েছে। এর আগে থেকে দমকা বাতাস থাকায় কপোতাক্ষ ও খোলপেুটয়া নদীর ঢেউ গাবুরার নেবুবুনিয়া ও লক্ষীখালীসহ বুড়িগোয়ালীনির দুর্গাবাটি এলাকার উপকূল রক্ষা বাঁধে আছড়ে পড়তে শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
দুর্গবাটি গ্রামের বাসিন্দা মলিনা রপ্তান জানান, গ্রামের ৫০ জনের বেশি মানুষ বাঁধ রক্ষার কাজ শুরু করেছে। ঢেউ ও স্রোতের তীব্রতা থেকে উপকূল রক্ষা বাঁধের ক্ষতি এড়াতে এলাকার মানুষ বাঁধের বাইরের অংশে জিও শিট (জিও ব্যাগের কাপড়) লাগানো হচ্ছে।
পোড়াকাটলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নীলকান্ত রপ্তান বলেন, ওয়াপদার লোকজন বালু ভর্তি বস্তা ফেলে গেছে। কিন্তু বালু যেন বস্তা থেকে বের হয়ে না যায় সে ব্যবস্থা নেয়নি। বাধ্য হয়ে ঢেউয়ের আঘাত থেকে বস্তার বালু রক্ষায় এলাকাবাসীকে আলাদাভাবে কাজ শুরু করতে হয়েছে।
এদিকে গাবুরার নেবুবুনিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার জানান, তাদের বাড়ি থেকে সাইক্লোন শেল্টার ২-৩ কিলোমিটার দূরে। গাবুরা গাইনবাড়ীর সাইক্লোন শেল্টারের ধারণক্ষমতা কম। বাধ্য হয়ে অধিকাংশ এলাকাবাসী নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিপিপির সদস্য আব্দুস সামাদ জানান, মানুষজন বাড়িঘর ছেড়ে সাইক্লোন শেল্টারে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তবুও স্থানীয়দের বুঝিয়ে স্বল্প সংখ্যক মানুষকে সাইক্লোন শেল্টারে নেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান সরদার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধ রক্ষায় তারা মাটি ফেলাসহ জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শেষ করেছেন। স্বাভাবিকের তুলনায় ৭-৮ ফুট পর্যন্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলেও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিবুল আলম বলেন, শনিবার রাত থেকেই মাইকিং করে স্থানীয়দের নিরাপদে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।