
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আট খণ্ডে সাজানো এই বিস্তৃত প্রতিবেদনটিতে কমিশনের সুপারিশ, ‘জুলাই জাতীয় সনদ’, রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর মতামত, তাদের সঙ্গে আলোচনার সারাংশ, বিভিন্ন নথি এবং পরিচালিত জনমত জরিপের ফলাফল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
প্রতিবেদনের সব খণ্ড পাওয়া যাবে সরকারের সংস্কারভিত্তিক ওয়েবসাইটে https://reform.gov.bd।
একই ওয়েবসাইটে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের সব প্রতিবেদনও উন্মুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের অক্টোবর থেকে বিভিন্ন সময়ে মোট ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। প্রথম দফায় গঠিত ছয়টি কমিশনের কার্যক্রম শেষ হওয়ার প্রাক্কালে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান প্রফেসর আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
পরে বাকি পাঁচ কমিশনের প্রধানদেরও সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধানরা অপারগতাপ্রকাশ করায় তাদের জায়গায় ওই দুই কমিশনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের কমিশনে নেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কমিশনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে ধারাবাহিক মতবিনিময় ও আলোচনার মাধ্যমে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে চূড়ান্ত করা হয় ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’। গত ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে এই সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।
কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সরকার ইতোমধ্যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন (সংবিধান) আদেশ’ জারি করেছে।