
আগামী বছর থেকেই দেশের সব ধরনের ব্যবসায় ভ্যাট নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান জানিয়েছেন, এ উদ্দেশ্যে একটি নতুন ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে, যাতে নিবন্ধন ছাড়াই কোনো প্রতিষ্ঠান আর কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য দেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ভ্যাট পেয়ার মাত্র ৬ লাখ ৪৪ হাজার, যা ব্যবসার প্রকৃত পরিসরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তার মতে, দেশের ভ্যাট নেট এখনো অস্বাভাবিকভাবে ছোট এবং অনেক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন ছাড়াই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। চলতি মাসেই এক লাখ নতুন প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
আব্দুর রহমান বলেন, “চলতি মাসের মধ্যে এক লাখ নতুন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান বাড়বে। সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা, সেটা হচ্ছে আমাদের ভ্যাট পেমেন্ট যারা করে, যাদের হাত দিয়ে ভ্যাট পেমেন্ট হয়; বিশেষ করে ব্যবসায়ীগণ; তাদের যে ভ্যাট নেট, এই ভ্যাট নেটটা যথেষ্ট ছোট।” তিনি আরও যোগ করেন, “এখন অ্যারাউন্ড ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার রেজিস্টার্ড ভ্যাট পেয়ার আছে। যেটা বাংলাদেশের ওভারঅল যে বিভিন্ন রকমের জরিপ আমাদের আছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের যে সংখ্যা আছে, তার সাথে কোনভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়।”
আমদানি করা মোবাইল ফোনে কর কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করলে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ; প্রয়োজন মনে হলে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। “অবশ্যই এটা রাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত। এনবিআরের এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও নেই,” মন্তব্য করেন তিনি।
কর অব্যাহতি নীতি কার্যকর হওয়ায় এনবিআরের হাতে এখন আর কর ছাড় দেওয়ার ক্ষমতাও নেই বলে জানান আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, “এখন এটা সরকার জনস্বার্থে যদি প্রয়োজন মনে করে তাও এটা দিতে পারবে অল্প সময়ের জন্য। পরবর্তী সংসদ বসা পর্যন্ত। পরবর্তী সংসদ বসে সিদ্ধান্ত নেবে কী করবে। আমরা যদি মনে করি দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এটা প্রয়োজন এবং আমাদের রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকরা যদি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন আমরা পজিটিভ।”