
সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় কাজ করা আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টানা তিন বছর ধরে সাংবাদিক হত্যার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত দেশ ইসরায়েল।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য প্রকাশ করে।
প্যারিসে সদর দফতর থাকা আরএসএফ জানিয়েছে, ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে ৬৭ জন সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে নিহত হয়েছেন। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ৬৬ জন। আরএসএফ জানিয়েছে, নিহতদের ৪৩ শতাংশই ইসরায়েলি সেনার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এ কারণে সংগঠন ইসরায়েলকে ‘সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় শত্রু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিশেষভাবে, ২৫ আগস্ট গাজার দক্ষিণাঞ্চলের একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি সেনার হামলায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স ও এপির দুই সাংবাদিকসহ মোট পাঁচ সাংবাদিক নিহত হন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় গণহত্যামূলক সামরিক অভিযানের পর মোট ২২০ জন সাংবাদিক ইসরায়েলি সেনার হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। গাজায় এখনো বিদেশি সাংবাদিকদের প্রবেশ কড়া প্রহরা ও সীমিত অনুমতির আওতায় থাকে, এবং সফরের সময় নানা খুঁটিনাটি বিষয় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ইসরায়েলের পর অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। ২০২৫ সালে দেশটিতে মোট নয় জন সাংবাদিক নিহত হন। বামপন্থি প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেনবম সাংবাদিকদের সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও এই সংখ্যা কমানো যায়নি।
তালিকাভুক্ত অন্যান্য দেশ হলো ইউক্রেন ও সুদান। দেশ দুটিতে যথাক্রমে তিন ও চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
আরএসএফ-এর প্রতিবেদনে ২০১২ সালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যখন একক বছর হিসেবে সর্বোচ্চ ১৪২ জন সাংবাদিক নিহত হন। ওই বছরের অস্বাভাবিক সংখ্যার প্রধান কারণ ছিল সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ।