
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের ইমেজ পুনর্গঠনে ব্যাপক বিনিয়োগে যাচ্ছে ইসরায়েল। প্রচার-প্রপাগান্ডা বা ‘পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি’ খাতে বরাদ্দ আগামী অর্থবছরে চলতি বছরের তুলনায় একেবারে ২০ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এই প্রস্তাব ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে।
সোমবার জেরুজালেমে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদেওন সার জানান, ২০২৬–২৭ অর্থবছরে পাবলিক ডিপ্লোম্যাসিতে ২৩৫ কোটি শেকেল (৭২ কোটি ৯০ লাখ ডলার) বরাদ্দের বিল মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। তিনি বলেন, এই বরাদ্দ চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছর থেকে প্রায় ২০ গুণ বেশি।
গিদেওন সার জানান, ইতোমধ্যে এ খাতে ১০০ কোটি শেকেল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে অবশিষ্ট অর্থও ছাড় করা হবে। তিনি বলেন, “নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি আরও শক্তিশালী করতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে। এটা ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার অংশ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জনমত যদি ইসরায়েল-বিরোধী অবস্থান নেয়, তা সরকারের কর্মকাণ্ডে সরাসরি প্রভাব ফেলবে।”
গত প্রায় দুই বছর ধরে গাজায় সামরিক অভিযানের ফলে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক মহল থেকে শুরু করে দেশের ভেতরেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সময়ে বহু দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ সীমিত বা বন্ধ করেছে। একইসঙ্গে ইসরায়েলের নাগরিকদের বড় একটি অংশ সরকারবিরোধী আন্দোলনেও অংশ নেন।
গত ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকেই নিজেদের আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অবস্থান পুনরুদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠেছে ইসরায়েল।
সূত্র: আরটি