
একটি দলের কর্মীরা গ্রামে গ্রামে হেলমেট মাথায় দিয়ে মহড়া দিচ্ছে, এটা দিয়ে ভোট হবেনা, এটা বিএনপির মধ্যে চলবেনা বলে মন্তব্য করে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, এবার সারাদেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং হবে। এতে করে সবাই খুশি। তাই ধানের শীষে সবাইকে ভোট দিতে আহবান জানান এ্যানি। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার রাজিবপুর এলাকায় মহিলা দলের উঠান বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অনেক অসুস্থ্। তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়ে তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছরের হাসিনার অত্যাচার-নির্যাতনে আপোশহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এখনকার এই অবস্থা। এটার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী। খালেদা জিয়া বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। খালেদা জিয়া এত বেশি অসুস্থ, আল্লাহ জানে কবে নাগাদ তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন, সেটাই এখন সবার প্রত্যাশা। সবার মৃত্যু হবে। কিন্তু কর্ম মানুষকে অনেক দূরে নিয়ে যাবে।
এ্যানি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান কাজের কারণে, তার কৃতিত্বের কারণে, রাষ্ট্র পরিচালনার কারণে, স্বাধীনতার নেতৃত্বে দেয়ার কারণ, যুদ্ধের কারণে, নিজ হাতে অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করার কারণে, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বলে আজকে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। ঠিক একইভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে মানুষ স্মরণ করছেন। খালেদা জিয়া যখন জেলে ছিলেন, তখন দেশের মানুষ চোখের পানি ফেলেছেন, দোয়া করেছেন। এখন পর্যন্ত তিনি বেঁচে আছেন। আল্লাহ যেন তাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে আবারও সবার মাঝে ফিরে দেন সেটাই মহান রবের নিকট প্রার্থনা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভোটের জন্য ঘরে ঘরে যেতে দল থেকে আমাদের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এবারের নির্বাচন আগের মতো নয়, একটি অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে নির্বাচন। খালেদা জিয়া বেঁচে থাকা মানে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভীত শক্তিশালী থাকা। গণতন্ত্র শক্তিশালী হওয়া। খালেদা জিয়া আমাদের অনুপ্রেরণা, তিনি বিএনপির মনোবল ও সাহস। ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের পাশে আছেন, এটা আমাদের শক্তি। সে শক্তি ও মনোবল নিয়ে মাঠে কাজ করছি। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মা-বোনদের কাছে যেতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে।
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে এ্যানি বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বে বেগম খালেদা জিয়া সম্মানিত। প্রতিটি দেশের সরকারপ্রধান তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছে, বিবৃতি দিচ্ছে এবং ডাক্তার পাঠাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার যেভাবে তাকে সম্মান দিয়েছে, আমরা অভিভূত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বাফুফে সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট হাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন ও জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়াসহ আরো অনেকেই।